Logo
table-post
রামপালে নিরিহ শিক্ষকের বৈধ জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ
01/01/1970 12:00:00

এম, এ সবুর রানা

রামপালের ঝনঝনিয়া সিকির পারহাউজ এলাকায় এক স্কুল শিক্ষকের বৈধ দখলীয় জমি জোরপূর্বক দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কতিপয় ব্যাক্তি। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও প্রাতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

 

স্কুল শিক্ষক শেখ নূরনবী জানান,  উপজেলার ঝনঝনিয়ার গ্রহীতা জীতেন্দ্র নাথ  (১-৮ জন) গংয়েরা সিএস ৪৩ খতিয়ানের জমি নিলাম খরিদ করেন। পরে ওই জমি ১৯৪৭ সালের ১ আগষ্ট ২১৪৬ দলিল মূলে দাতা শেখ আয়েন উদ্দিন গংয়েরা খরিদ করে দখল  বুঝে নেন। কিন্তু ওই জমি সিএস বুনিয়দে দাবী করেন, জয়নাল ফকির গংয়েরা। ভাগার কিসমত ঝনঝনিয়া মৌজার তর্কিত জমি নিয়ে মামলা করেন, জয়নাল ফকির গং। যার মামলা নং ৯৩/৯২। ওই মামলাটি শুনানী শেষে আদালত ২০০৫ সালে খারিজ করে দেন। পরে একই আদালতের পুনঃ বিচার চান। ২০২২ সালে সেটিও খারিজ করেন আদালত। পুনরায় আবারো আবেদন করলে সেটিও বিবাদীর অনুকুলে খারিজ হয়।

গত ৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারের পতন হলে ৬ আগষ্ট ভাগার আ. লতিফ, শেখ আবু বকার, শেখ মাহাতাব, শেখ ফজলু গংয়েরা জমি ও জমিতে থাকা মৎস্য ঘেরে চড়াও হন। তারা ঘের দখলে নিতে ঘেরের মধ্যে ছাপড়া ঘর বাঁধে ও তিনদিন ধরো বিপুল পরিমান মাছ লুট করে নেয় বলে অভিযোগ করেন শেখ নূরনবী টুকু। তিনি জানান, এসএ ৬২ এর ৩ নং দাগ ও বিআরএস ১১২ খতিয়ানের ৫ নং দাগে মোট ১.৫৫ একর জমি রেকর্ড হয়। যা গত ৭৭ বছর ধরে তারা ভোগদখলে রয়েছেন। প্রতিপক্ষ বার বার আদালতে মামলা করে বার বার হেরেও জমি দাবী করে হয়রানি করছেন। প্রতিপক্ষ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন বলে ভুক্তভোগী জানিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে আ. লতিফ, শেখ আবু বকার, মাহাতাব শেখ ও শেখ ফজলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা ওই জমির প্রকৃত মালিক। ভুল করে তাদের নামে রেকর্ড হয়েছে। তবে জমিতে ঘর তুলে নেট দিয়ে ঘিরলেও মাছ ধরে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

@bagerhat24.com