Logo
table-post
দেশের দুটি বড় মেগা প্রকল্পের মেশিনারিজ পন্য মোংলা বন্দরে খালাস
01/01/1970 12:00:00

মোংলা প্রতিনিধি

দেশের দুইটি বড় মেগা প্রকল্পের মেশিনারিজ পন্য খালাস করা হচ্ছে মোংলা বন্দর জেটিতে। জাহাজ দুটিতে ৩ হাজার ৩১৯ মেট্রিট টন মেশিনারিজ সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ রয়েছে। এর মধ্য একটি হচ্ছে পাওয়ার গ্রিড আর অন্যটি রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দের মালামাল রয়েছে। এ জাহাজ দুটিতে ৩ হাজার ৩১৯ মেট্রিক টন মেণিারিজ যন্ত্রাংশ রয়েছে। যা সড়ক পথে রুপপুর ও পাওয়ার গ্রীডে নেয়া হবে বলে জানায় আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। 

জাহাজ দুটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, মালেশিয়ার একটি বন্দর থেকে ২০০৬. ৫১২ মেট্রিক টন মেশিনারিজ পন্য নিয়ে মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নঙ্গর করে “এমভি পিটি রিওয়াইন” নামের বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ। জাহাজটি গত ২৫ জুন মালেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর পরে বাংলাদেশের উদ্দোশ্যে ছেড়ে আসে। গত ২ জুলাই বিকালে মোংলা বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে এসে ভিড়ে মেশিনারিজ নিয়ে আসা জাহাজটি। এ জাহাজটিতে পাওয়ার গ্রিডের ষ্টিল স্টাকচারের পাইপ ও অন্যান্য রোহা ও ষ্টিলের পন্য রয়েছে। যা খালাস করছে ষ্টিভিডরস (শ্রমিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠার) মেসার্স অভিরত এজেন্সি কোম্পানী বলে জানায় শিপিং এজেন্ট প্রতিনিধিরা।  

আর অন্যটি, গত ২৪ জুন রাশিয়ার নবরস্কি বন্দর থেকে মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ নিয়ে মোংলা বন্দরে পন্য খালাসের উদ্দোশ্যে ছেড়ে অঅসে। গত ১ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ১৩১৩ মেট্রিক টন মেশিনারীজ পন্য নিয়ে মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে এসে নঙ্গর করে। এ জাহাজটিতে দেশের একটি বড় প্রকল্প রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রেরমুর‌্যবান বিভিন্ন পন্য রয়েছে। জাহাজটি মোংরা বন্দরে পৌছাতে ৮ দিন সময় লেগেছে। মেশিনারিজ পন্যের আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইন্টার পোর্ট লি: কর্তৃপক্ষ। আর পন্য খালাসকারী প্রতিষ্টার মেসার্স অভিরত এজেন্সী লি: কোম্পানী। দুই জাহাজের পন্যগুলো মোংলা বন্দরে খালাস করতে সময় লাগবে মাত্র ৩ দিন। মেসার্স অভিরত এজেন্সি কোম্পানীর মাধ্যমে পন্যগুলো খালাস করে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকালে জাহাজ দুটি একই সাথে মোংলা বন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে বলে জানায় শিপিং এজেন্ট কর্তৃপক্ষ। 

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মোঃ মাকরুজ্জামান জানান, মোংলা বন্দরে এক সাথে ৫০টি পন্য বোঝাই জাহাজ থাকলেও আমাদেরে জনবল ও ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করায় কোন বেগ পেতে হবে না। ব্যাবসাযীদের সহায়তার জন্য ২৪ ঘন্টা বন্দরের সকল শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রস্তুত থাকে। জাহাজ আসার সাথে সাথে আমাদের পক্ষ থেকে ব্যাবসায়ীদের সহায়তার জন্য জনবল ও পন্য খালাসের জন্য যত ধরণের ইকুইপমেন্ট প্রয়োজন হয় তা দ্রæত সরবরাহ করা হয়। যার কারণে ব্যাবসায়ীদের এখন সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। আমদানীকারকরা পন্য আনার সাথে সাথে তা দ্রæত খালাস করে বন্দর ত্যাগ করতে পারে। মোংলা বন্দরের সাথে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দুরত্ব কম হওয়ায় দেশে,র বড় বড় মেগা প্রকল্পের পন্য মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হচ্ছে এবং যত দিন যাচ্ছে ব্যাবসাযীরা এখন মোংলা বন্দর ব্যাবহারে আগ্রহী হচ্ছে বলে জানায় বন্দরের এ কর্মকর্তা। 

@bagerhat24.com