Logo
table-post
বাগেরহাটে ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা উৎসব শুরু
01/01/1970 12:00:00

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাগেরহাটে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব জগন্নাথদেবের রথযাত্রা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জুন)বিকেলে ফকিরহাট উপজেলার ঢহর মৌভোগ এলাকায় জগন্নাথদেবের মন্দিরে এই রথযাত্রা (রথ টানা) উৎসবের উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।

এসময়, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক কামরুল ইসলাম গোড়া, সদস্য খান মনিরুল ইসলাম, মন্দির কমিটির সদস্য মুহিত বালাসহ কয়েক হাজার ভক্ত দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


উদ্বোধনের পরেই সনাতনধর্মালম্বীরা কাঠের তৈরি রথ টানতে শুরু করেণ। সেই সাথে উলু, হরিবোল ও জয়-জগন্নাথ ধ্বনীতে মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গন। ভক্ত দর্শনার্থীরা তাদের মনোবাসনা পুরণে জগন্নাথ দেবের কাছে প্রার্থনা করেন। 


এছাড়া ফকিরহাটের মানসা, বেতাগাসহ কয়েকটি মন্দির পরিদর্শন করেন বিএনপির নেতারা। সনাতন ধর্মালম্বীদের নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের অনুরোধ করেন কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সব সময় সনাতন ধর্মালম্বীদের পাশে রয়েছে। বাংলাদেশে কোন সংখ্যালঘু নেই। আওয়ামী লীগ সরকার সংখ্যালঘু ট্যাগ লাগিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করেছে। পাশাপাশি সনাতন ধর্মালম্বীদের জমি দখল করেছেন। ৫ আগস্টের পরে আপনারা অনেক শান্তিতে রয়েছে। কেউ আপনাদের বিরক্ত করবে না। আপনারা নিয়ম অনুযায়ী ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করবেন।


এদিকে বিকেলে বাগেরহাট সদর উপজেলার লাউপালা এলাকায় রথযাত্রার উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সমন্বয়ক এম এ সালাম। এসময়, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মোহন লাল হালদার, সদস্য সচিব বাবুল হালদার বিপ্লব, যাত্রাপুর রথযাত্রা মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি বাবুল সরদারসহ স্থানীয় সনাতন ধর্ম ও অবলম্বীরা  উপস্থিত ছিলেন। 


এছাড়া, কচুয়ার শিবপুর-শিববাড়ি মন্দিরেও রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়েছে। উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে ৭ দিন ও ১৫ দিনের মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় হস্তশিল্প পন্য, খেলনা, শিশুদের বিনোদন সরঞ্জাম, মিষ্টান্নসহ নানা ধরনের পন্যের পশরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। মেলার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের টহল ও প্রশাসনের নজরদারি লক্ষ্য করা গেছে। ১২ জুলাই উল্টো রথ যাত্রার মাধ্যমে এই উৎসব শেষ হবে।


রথযাত্রা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে জেলা পুলিশ। রথযাত্রা ও রথযাত্রা উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা প্রতিটি মন্দিরে পুলিশ ও নিজস্ব স্বেচ্ছাসবকগণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

@bagerhat24.com