
দীর্ঘ ১৭ বছর পর নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ পুর্নমিলনীর আয়োজন করলেন বিএনপির নেতা জুলফিকার আলী
01/01/1970 12:00:00মোংলা প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ১৭ বছর পর উম্মুক্ত ভাবে ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন মোংলা বন্দর ইষ্টিভিডরস এ্যাশোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র বিএনপি নেতা মোঃ জুলফিকার আলী। থানা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণর মানুষের নিয়ে ঈদ পরবর্তী এক মিলনমেলায়র আয়োজন করেছে তিনি। সোমবার দুপুরে পৌর শহরের আরীয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির এ নেতার আহ্বানে কয়েক জাহাজর নেতা কর্মীর মুখোমুখি এক টেবিল বসে একে অপারের সাথে কুশল বিমিয় করছেন। এ যেন রাজনীতির প্রান্তে এক মানবিক কবিতা। এখানে প্রতিটি মানুষের হাতে হাত রাখা, মন খুলে কথা বলার প্রতিটি হাসির পেছনে আছে যেন আত্মিক স্বীকৃতি। তাদের হাসিঁ আর হাস্যউজ্জল মুখের এ ভাষাই যেন বলে দিচ্ছে, তোমরা আছো, তাই আমি আছি। সবার সাথে সম্পর্কের এ যেন নির্জন গভীরতা।
ঈদুল আযহার উৎসবের আজ তৃতীয় দিন, মোংলা শহরের আলীয়া মাদ্রাসা চত্বরে ভিন্নধর্মী এক আয়োজনের সাক্ষী হলেন প্রায় তিন হাজার মানুষের আগমন। সকাল থেকেই নেতাকর্মীদের ভিড়ে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ। কারও কাঁধে রয়েছে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, কেউ আবার সদ্য যুক্ত হওয়া দলীয়কর্মী। ঈদের খুশিকে ভাগাভাগি করতে জড়ো হন সবাই। দলীয় আবরণ ছাপিয়ে এই আয়োজন রূপ নেয় এক আন্তরিক মিলনমেলায়।
ভোজের আয়োজনে ছিল কোরবানির মাংস দিয়ে তৈরি নানা পদের খাবার। তবে অংশগ্রহণকারীদের ভাষ্য, মেন্যুর চেয়েও বড় উপাদান ছিল আন্তরিকতা। পুরো আয়োজনটির দেখভাল করেন বিএনপির নেতা জুলফিকার আলী নিজেই। অতিথিদের স্বাগত জানানো থেকে শুরু করে খাবার পরিবেশনার মেহমানদারীর সবখানেই ছিল তাঁর সরাসরি নজরদারি।
অনুষ্ঠানে আসা নেতাকর্মীরা বলেন, আজকের দিনটি শুধু খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন ছিল না, ভালোবাসা পাওয়ারও ছিল। রাজনীতির অঙ্গনে এমন মানবিক সম্পর্ক এখন বিরল। অনেকেই এলেন বহুদিন পর। কেউ আবার সঙ্গে করে নিয়ে এলেন নতুন প্রজন্মের কর্মীদের। নানা বয়স ও অভিজ্ঞতার মানুষ একসঙ্গে বসে খেয়েছেন, গল্প করেছেন, ভাগাভাগি করেছেন পুরনো স্মৃতি আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। অনেকের কাছে এই ভোজ ছিল পারিবারিক পরিবেশে ফিরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা। ঈদের সময় রাজনীতি সাধারণত ছায়ায় থাকে। কিন্তু এই ব্যতিক্রমী আয়োজন রাজনীতিরই আরেকটি দিক তুলে ধরেছে সহমর্মিতা, ত্যাগ আর ভালোবাসা। কোরবানির মর্মবাণীকে ধারণ করে এই আয়োজন শুধু উদরপূর্তির জন্য ছিল না, ছিল হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো একটি মুহূর্ত।
এসময় বিএনপি নেতা মোঃ জুলফিকার আলী বলেন, মোংলা উপজেলা ও পৌরসভার বিএনপির এ নেতা কর্মীরাই আমার রাজনীতির ভিত্তি। তারা আমাকে ¯্রদ্ধো ভালবাসা আর স¤œাম সহ অনেক কিছু দিয়েছে। আমার রাজনৈতিক জীবনে তাদের জন্য কিছুই করতে পারিনী। তাই ঈদের এই আনন্দের দিনে তাঁদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাওয়ার-দাওয়ার সুযোগ আমার জন্য পরম সৌভাগ্যের। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যেন তাদের পাশে থেকে মানুষেল কল্যানে কাজ করতে পারি সেই দোয়া ও ভালবাসা চাই সকলের কাছে।