
প্লাষ্টিক বর্জ্যের দুষনে আক্রান্ত সুন্দরবন
01/01/1970 12:00:00মাসুদ রানা, মোংলা
প্লাস্টিক বর্জ্য ও পলিথিন দূষণে আক্রান্ত এখন সুন্দরবন। এ সকল বর্জ্যরে দূষণের ফলে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র ও জীব বৈচিত্র এখন হুমকির মুখে। পরিবেশবীদদের এক গবেষণায় বলছে, সুন্দরবনের মাছে মাইক্রো প্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
এতে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকুলীয় অঞ্চলে বসবাসকারীরা মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে পড়েছে, বিলুপ্ত হতে বসেছে সুন্দরবনের জলজপ্রাণী। সুন্দরবন ও নদ-নদীর পরিবেশের বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষায় প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাবহারে জিরো টলারেন্স নীতিতে চলতে না পারলে আগামীর প্রজন্ম ধ্বংশের দিকে দাবিত হচ্ছে। শুধুমাত্র সুন্দরবনে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করলে হবেনা, সমগ্র দেশের উপক’লজুড়ে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাবহার নিষিদ্ধ করা এখনই প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে মোংলার কানাইনগর পশুর নদীর পাড়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে প্লাস্টিক পলিথিন দূষণের কবল থেকে সুন্দরবন ও নদ-নদী রক্ষার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে এমন দাবী তোলেন মোংলা নাগরিক সমাজ, সার্ভিস বাংলাদেশ ও উপজেলা জেলে সমিতির সহ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে।
মোংলা উপজেলা জেলে সমিতির যৌথ আয়োজনে এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এবারের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য,”বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আহ্বান, হোক প্লাস্টিক দূষণের অবসান” শ্লোগানে এবছর সারা দেশে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হচ্ছে। এ অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মোংলা উপজেলা জেলে সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎ মন্ডল।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মোংলা নাগরিক সমাজের সভাপতি পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। অন্যান্যদের বক্তাব্য রাখেন, সার্ভিস বাংলাদেশ'র সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, জানে আলম বাবু, সুমন রানা, জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার, শাহাদত ব্যাপারী, মোঃ জাহিদ হোসেন প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শুধুমাত্র আইন ও বিধিবিধান করে সুন্দরবনকে প্লাস্টিক পলিথিন দূষণমুক্ত করা যাবেনা। মানুষের জনসচেতনতা ও আইন এবং বিধিবিধানের কঠোর অনুসরণ করে সুন্দরবনকে দূষণমুক্ত করা সম্ভব। সুন্দরবনের এখন সর্বত্র প্লাস্টিক পলিথিন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। বনবিভাগ সহ আইনশৃংখোলা বাহিনীকে এবিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর ১১ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য জলজ পরিবেশে প্রবেশ করে। যা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র ও মানবদেহে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে। তাই এখনই কার্যকরী ব্যাবস্তা নেয়া হলে আগামীর প্রজন্ম হুমকির মুখে পরে ধ্বংশের দিকে দাবিত হচ্ছে।
জেলে সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎ মন্ডল বলেন, প্লস্টিক পলিথিন দূষণের ফলে সুন্দরবন ও মোংলা বন ্দরের প্রাণ পশুর নদীর জলজপ্রাণী বিশেষ করে মাছের মারত্মক ক্ষতি হচ্ছে। নদী দূষণের কারণে ইলিশ মাছের স্বাস্থ্যহানির ফলে দেহের আকার ছোট হয়ে গেছে। দূষণের ফলে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। তাই শুধু মোংলা নয় সারা দেশের পরিবেশকে বাচাঁনোর আমরা আওয়াজ তুলী “প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ করি, পরিবেশ সম্মত বিশ্ব গড়ি।