Logo
table-post
ফকিরহাটে কোরবানি ঘিরে খামারিদের ব্যস্ততা, প্রস্তুত ১২ হাজার গরু-ছাগল
01/01/1970 12:00:00

ফকিরহাট প্রতিনিধি
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাগেরহাটের ফকিরহাটে কোরবানির পশু প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। উপজেলা প্রণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, এবছর ১,০৯২টি খামারে মোট ৯ হাজার ২০টি গরু ও ছাগল মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। কোরবানির জন্য উপজেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৮হাজার ৯১৬টি। ফলে চাহিদার চেয়ে কিছুটা বেশি পশু উৎপাদন হয়েছে।


তবে বাস্তবে এর সংখ্যা আরও বেশি বলে জানা গেছে। খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার অনেক খামার এখনো প্রাণিসম্পদ দপ্তরে নিবন্ধিত নয়। এছাড়া বহু গৃহস্থ নিজ উদ্যোগে গরু-ছাগল মোটাতাজা করেছেন। সব মিলিয়ে উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফকিরহাটের প্রধান কোরবানির গরুর হাট বেতাগায় প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে গড়ে প্রায় ১০ হাজার গরু এসে থাকে।

এছাড়া উপজেলার ফকিরহাট অস্থায়ী গরুর হাটেও আশে-পাশের উপজেলা থেকে কোরবানির পশু আসে। তবে বাইরের পশুর চেয়ে স্থানীয় পশুর ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যায়। ক্রেতারা স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পালিত স্থানীয় পশুর দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। তবে কোরবানির আগে পশু প্রস্তুতির পাশাপাশি চুরি এখন বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি খামার থেকে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে খামারিরা নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশ রাতের টহল বাড়িয়েছে এবং চুরি প্রতিরোধে মানুষদের সচেতন করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

এছাড়া গো-খাদ্য ওষুধ এবং শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় পশুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেক খামারি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, ‘খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়াতে বিশেষ যত্ন নেওয়ার আহব্বান জানান। পাশাপাশি সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ করছেন বলেও জানান তিনি।

ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন বলেন, এবছর উপজেলায় দুইটি কোরবানির পশুর হাট বসবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাট ও খামারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর রয়েছে। মেডিকেল টিম ও জাল টাকা প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 
 

@bagerhat24.com