
মোংলায় বিএনপির ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি
01/01/1970 12:00:00মাসুদ রানা, মোংলা
বাগেরহাটের মোংলায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ জুলফিকার আলীসহ দলটির ২২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে, যা শহরের রাজনৈতিক আবহকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
মঙ্গলবার রাতে মোংলা থানায় এনসিপি’র শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোঃ তিতুমীর চোকদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তার অভিযোগ, গত এপ্রিল মাসে শ্রমিক সংগঠনের একটি অনুষ্ঠানে বিএনপি-সমর্থিত একটি পক্ষ হামলা চালিয়ে মঞ্চ ভাঙচুর, মারধর ও নারী নেত্রীকে শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা ঘটায়।
তিতুমীর চোকদারের এজাহার অনুযায়ী, ২৮ এপ্রিল শ্রমিক সংগঠনের সভার প্রস্তুতি চলাকালে হামলার সূত্রপাত হয়। পরদিন ২৯ এপ্রিল শহরের শ্রমিক সংঘ চত্বরে এনসিপি ও বিএনপি-সমর্থিত শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। ঘটনার তিন সপ্তাহ পর এসে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মোঃ জুলফিকার আলী, যিনি বর্তমানে মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্বে আছেন। তার পাশাপাশি একাধিক যুবদল, ছাত্রদল ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতার নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
🗣️ বিএনপির প্রতিক্রিয়া ও প্রতিবাদ:
মামলার পরপরই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় স্থানীয় বিএনপির মধ্যে। বুধবার দুপুরে মোংলা প্রেস ক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ এমরান হোসেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। জুলফিকার আলীর জনপ্রিয়তা ও বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।”
🔥 শহরে উত্তেজনা ও বিক্ষোভ:
মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার বিকেলে শহরের বিভিন্ন স্থানে দুই দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বিএনপি। এতে করে শহরের রাজনৈতিক পরিবেশ আরও অস্থির হয়ে ওঠে।
📌 সর্বশেষ পরিস্থিতি:
বর্তমানে মোংলা শহরে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।