
ফকিরহাটে ইউপি সদস্যের ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার-১
01/01/1970 12:00:00ফকিরহাট প্রতিনিধি
ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের কামটা ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তফা শেখের মেঝ ভাই মাহাতাব শেখ (৪২) এর মৃত্যুর ঘটনায় ১টি মামলা দায়ের হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে নিহতের ভাই রিপন শেখ বাদী হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি নরহত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৭, ধারা-৩০৪/৩৪ পেনাল কোড। মামলার প্রধান আসামী ইমরান মোল্লা রিপন (৩০)কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাকে উপজেলার পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া রিপন মোল্লা উপজেলার কামটা গ্রামের মোল্লা জাকির হোসেনের ছেলে। নিহত মাহাতাব শেখ (৪২) উপজেলার কামটা গ্রামের মৃত অহেদ শেখের ছেলে। তিনি নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তফা শেখের মেঝ ভাই। তিনি পেশায় একজন কৃষক।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিহত মাহাতাব শেখ বাড়ির পাশে একটি পোল্ট্রি ফার্মে ঘুমিয়ে ছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভয়ভীতি দেখানোর উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষের কয়েকজন ওই পোল্ট্রি ফার্মে গিয়ে তাকে মারপিট করে। এসময় মাহাতাব শেখ দৌড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে বাগ-নলধা এলাকা থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
সেখানে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এদিকে নিহতের ভাই রিপন শেখ, ভাইপো মহসিন শেখ জানান, নিহত মাহাতাব শেখ পোল্ট্রি ফার্মে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তার উপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালায়। এসময় সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে মাহবাব শেখ তার ভাইপো মহাসিন শেখের নিকট মোবাইল ফোনে কল করে বিষয়টি জানান। এরপর পরিবারের লোকজন মাহাতাব শেখকে বাগ-নলধা এলাকা থেকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে নিহতের পরিবার জানান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে প্রাথমিক সুরোতহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে পাঠায়।
ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি নরহত্যা মামলা হয়েছে। আইনী প্রক্রিা শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। মামলার ১নং আসামীকে গ্রেপ্তার এবং অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে জোর অভিযান চলছে।