Logo
table-post
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পন্য আনায় আমদানীকারককে খুজছে মোংলা কাস্টমস
01/01/1970 12:00:00

মোংলা প্রতিনিধি

মোংলা বন্দরে খালাসের জন্য বিদেশ থেকে পন্য আমদানী করে আনা ঢাকার “মুন্না এন্টার প্রাইজ” নামের এক আমদানী কারককে খুজছে মোংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সহ প্রশাসনের সদস্যরা। “রিবন বা ফিতা” আমদানী করার ঘোষনা পরিবর্তে আইন বহিঃর্ভুত ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার সিগারেট আমদানী করায় শুল্ক ফাঁিকর অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে এখন পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের কোন হদিস পাচ্ছে না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পাওয়া গেলে কাস্টমস আইন অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় মোংলা কাস্টমস হাউজ। 

মোংলা কাস্টম হাউস সুত্রে জানান, গত ২৬ এপ্রিল সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী “এমভি কোটা রেষ্টু” নামক কন্টেইনারবাহী একটি বানিজ্যিক জাহাজে করে ২০ ফুটের একটি কন্টেইনার বেকাঝাই করে পন্য আমদানী করে ঢাকার পুরানো পল্টোন এলাকার “মেসার্স মুন্না এন্টার প্রাইজ” নামের একটি আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান। সেখানে সরকারী শুল্ক ফাঁিক দিয়ে “রিবন বা ফিতা” আমদানী করার ঘোষনার পরিবর্তে আইন বহিঃর্ভুত আরব আমিরাতের ওরিস সিলভার ব্রান্ডের সিগারেট আমদানী করা হয়েছে। কিন্ত দীর্ঘদিন হলেও এ পন্যগুলো ছার করে নিতে আসছে না আমদানীকরক প্রতিষ্ঠান। তাই কাস্টমসের এ বিষয় সন্দেহ হলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে গোপন সংবাদ পেয়ে (১৩ মে) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সকল ধরণের প্রশাসনের সম্মুখে কনটেইনারটি খোলা হয়। পরে সেখানে তল্লাশী করে দেখেন, ঘোষণায় ছিল “রিবন বা ফিতা” কিন্তু কনটেইনার খুলতেই বের হলো ওরিস সিলভার ব্র্যান্ডের ৭৮ লাখ শলাকা বিদেশী ব্রান্ডের সিগারেট। পরে কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করে মোংলা বন্দরে আমদানি ঘোষণার সাথে মিল না থাকায় বিপুল পরিমান সিগারেট জব্দ করেছে মোংলা কাস্টম হাউস। 

কাস্টমস সূত্র আরো জানায়, ‘পি আই এল’ বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে আসা ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই কনটেইনারটি মেসার্স মুন্না এন্টারপ্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে এসেছে। কনটেইনারে থাকা ৩৯০টি প্যাকেজের প্রতিটিতেই সিগারেট ছিল। এসব সিগারেটের আনুমানিক বাজারমূল্য সরকারী ভ্যাট ও আনুসাঙ্গীগ সহ প্রাথমিকভাবে ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। তবে ঘোষনা অনুযায়ী শুল্ক দিয়ে এসকল সিগারেট আমদানী করলে তার বাজার মুল্য হতো পাঁচ কোটি চার লাখ ৫৬ হাজার ৪০৬ টাকা বলে জানায় মোংলা কাস্টমস’র সহকারী কর্মকর্তা মোঃ রুবেল হাসান।

মোংলা কাস্টম হাউসের কমিশনার মুহম্মদ শফিউজ্জামান বলেন, এ আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের ধারণাছিল শুল্ক ফাঁিক দিয়ে পন্যগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে। তাই ঘোষণার সাথে মিল না থাকা ও শুল্ক ফাঁকির সুস্পষ্ট চেষ্টা ছিল আমদানীকারকদের। 

তিনি আরো বলেন, আমাদের নজরদারি জোরদার করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এভাবে প্রতারণা করতে না পারে। মোংলা বন্দরের নিরাপত্তা ও রাজস্ব রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। আর ঘোষনা বহিঃভুত ভাবে যারা সিগারেট আমাদনী করছে, গোপনীয়ভাবে আমদানীকার এ প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি, কাস্টমস আইন অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

@bagerhat24.com