Logo
table-post
ফকিরহাটে চলমান তীব্র তাপদাহে চরম দুর্বিষহ মানুষের জীবনযাপন
01/01/1970 12:00:00

পি কে অলোক,ফকিরহাট
 ফকিরহাটে চলমান তীব্র তাপদাহে মানুষের জীবনযাপন চরম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া মুটে মজুর শ্রেণির দরিদ্র মানুষ। রোববার (১১ মে) দুপুরে এই উপজেলার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা শ্রমজীবী মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

স্থানীয় কৃষক, ধান খেতে কাজ করা মজুর ও নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, প্রচন্ড গরমে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে, তবুও জীবিকার তাগিদে তারা বাধ্য হচ্ছেন মাঠে নামতে। নির্মাণ শ্রমিক শাহ আলম বলেন, “গরমে মাথা ঘোরে, শরীর দুর্বল লাগে, কিন্তু কাজ না করলে খাব কী?” তাপদাহের কারণে উপজেলার কৃষিকাজেও প্রভাব পড়েছে। বোরো মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হলেও, মাঠে কাজ করতে গিয়ে অনেক কৃষক হিটস্ট্রোকের আশঙ্কায় ভুগছেন। বেশিরভাগ ধান কাটা হয়ে গেলেও চলছে মাড়াইয়ের কাজ। উপজেলার বাহিরদিয়া এলাকায় দিন চুক্তিতে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছেন রাজশাহী থেকে আগত বেশ কয়েকজন শ্রমিক।

এদের একজন সরদার আলী বলেন, “পাঁচ-দশ মিনিট রোদে থাকলেই চোখে অন্ধকার দেখি। মাথার উপর তীব্র রোদ, কোথাও কোন বাতাস নেই। তবু চুক্তি অনুযায়ী কাজ করতে হয়। পাগলা শ্যামনগর এলাকার মোস্তফা হাসানসহ একাধিক কৃষক জানান, তীব্র তাপদাহে কাজের জন্য শ্রমিকদের বেশি মজুরী দিতে হচ্ছে। এতে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

উপজেলার একাধিক ভ্যান চালকও একই পরিস্থিতির কথা বলেন। তবে অনেকেই জানান, কাজ না করলে উপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে, তাই তারা বাধ্য হচ্ছেন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।  হাসপাতালেও তীব্র গরমে ডায়েরিয়ার রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এই গরম আরো কিছুদিন থাকবে। ফলে চলমান তাপদাহে সকলকে পর্যাপ্ত পানি পান ও বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন।” 

@bagerhat24.com