Logo
table-post
ভান্ডারিয়ায় চা বিক্রেতার হাতে স্ত্রী-শাশুড়ি খুন, নিখোঁজ শিশু সন্তান জানাতে পারে রহস্য
01/01/1970 12:00:00

ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় এক চা বিক্রেতার হাতে স্ত্রীর ও শাশুড়ির নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন—নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩২)। অভিযোগ উঠেছে, ফরিদার জামাতা ও চা বিক্রেতা মোঃ ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫) এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাদল খান এর আগেও তিনবার বিয়ে করেছিল। সর্বশেষ ১৬ এপ্রিল প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পা বেগমকে বিয়ে করে সে। এরপর থেকেই স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি ফরিদা ও তার আগের স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে (১০) নিয়ে একটি ফাঁকা বাড়িতে বসবাস করছিল।

ঘটনার রাতে ইয়াসিন ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে প্রতিবেশীকে জানায়, তার বাবা তার সৎ মা ও নানীকে গলা কেটে হত্যা করেছে। এরপর থেকেই ইয়াসিন নিখোঁজ রয়েছে, এখনো তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেশী নাছিমা বেগম পরে ঘরে ঢুকে দেখতে পান—দুই নারীর নিথর দেহ মাটিতে পড়ে আছে এবং তাদের শরীরে আগুন জ্বলছে। তিনি দ্রুত পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে প্রতিবেশীদের ডাক দেন এবং পুলিশকে খবর দেন।

কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা নিশ্চিতভাবে কেউ বলতে পারেনি। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, পারিবারিক কলহ থেকেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমদ আনোয়ার বলেন, “অভিযুক্ত বাদল খান ২০ দিন আগেই চতুর্থবার বিয়ে করে। পারিবারিক দ্বন্দ্বেই এ হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে, তবে আমরা অন্যান্য দিকও খতিয়ে দেখছি।”

এদিকে ঘটনাস্থলে পিরোজপুর থানা পুলিশ, ডিবি ও সিআইডি সদস্যরা উপস্থিত হয়ে আলামত সংগ্রহ করেছেন। হত্যাকারী এখনও পলাতক, তাকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ শিশু ইয়াসিনকে পাওয়া গেলে এ হত্যাকাণ্ডের অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। স্থানীয়রা একে ভান্ডারিয়ার সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম নৃশংস ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

 

@bagerhat24.com