
সুন্দরবনে রুদ্ধশ্বাস অভিযান: করিম শরিফ বাহিনীর দুই বনদস্যু ধরা, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ
01/01/1970 12:00:00মোংলায় কোস্ট গার্ডের রাতভর অভিযানে ধরা পড়লো দুর্ধর্ষ বনদস্যুদের দুই সহযোগী, উদ্ধার হলো ভয়ংকর অস্ত্রভাণ্ডার
মাসুদ রানা,মোংলা
সুন্দরবনের ভয়ংকর বনদস্যু করিম শরিফ বাহিনীর সক্রিয় দুই সদস্যকে রাতভর অভিযান চালিয়ে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এইচ এম এম হারুন-অর-রশীদ সংবাদ মাধ্যমে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫ মে সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের একটি দল শিবসা নদীর পাশে আদাছগী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে বনজীবীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়ানো কুখ্যাত করিম শরিফ বাহিনীর দুই সহযোগী—মো. সাদ্দাম খান (২০) ও আব্বাস মোল্লা (৪০)—কে আটক করা হয়। তারা বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
তাদের আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়—২টি একনলা বন্দুক, ১টি শর্ট গান, ১টি খেলনা বন্দুক, ২৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২০৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি, ৯টি দেশীয় অস্ত্র, ৪টি কুড়াল, ৭টি করাত, ১০টি রড, ৫টি হাতুড়ি, ১টি সোলার প্যানেল, ২৮টি মোবাইল ফোন, ১১টি ওয়াকি-টকি চার্জার এবং ২টি কাঠের নৌকা। এছাড়া অস্ত্র তৈরির নানা উপকরণও জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দস্যুরা স্বীকার করেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে করিম শরিফ বাহিনীর হয়ে কাজ করত এবং মুক্তিপণের জন্য জেলেদের অপহরণ, লুটপাটসহ দস্যু কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নিত।
মোংলা কোস্ট গার্ড চিফ স্টাফ অফিসার কমান্ডার সঞ্জীব কুমার দে বলেন, “সুন্দরবনে এখন মাত্র ৬-৭টি সক্রিয় দস্যুবাহিনী রয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না পুরো সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করা যায়। এখন দস্যুরা জেলেদের অপহরণ করে আর জিম্মি রাখতে সাহস পায় না।”
তিনি আরও জানান, কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা উপকূলীয় এলাকায় টহল ও বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই সফলতা ভবিষ্যতে আরও জোরদার করা হবে।