
মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলয় বিএনপির ৭ নেতাকর্মী আহত
01/01/1970 12:00:00মশিউর রহমান মাসুম
মোরেলগঞ্জে বিএনপির একটি পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় সাবেক ছাত্রদল নেতা ও তার মাসহ কমপক্ষে ৭জন আহত হয়েছেন। হামলাকারিরা সংঘবদ্ধভাবে প্রতিপক্ষের একটি দোকান ও ৪টি বসত ঘরেও হামলা করে বলে দাবি করেছেন ভূক্তভোগী সাবেক ছাত্রদল নেতা জিএস রিপন খলিফা। শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিজবাড়িতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
জিউধরা ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গ্রæপিং ও দ্বন্দের কারনে সভাপতি পদে বিজয়ী মো. কামাল খানের অনুসারীরা প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী মো. রিপন খানের অনুসারীদের ওপর শুক্রবার বেলা ৯ টার দিকে হামলা করে বলে জিএস রিপন তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, নির্বাচনের জের ধরে ঘটনার দিন কামাল খানের অনুসারী স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা সাইফুল ইসলাম বনি ৩০/৪০জনের একটি বাহিনী রিপন খানের কর্মী খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জি.এস রিপন খলিফাকে মারপিট করে। এসময় রিপনকে উদ্ধারের জন্য ছুটে গেলে তার মা লুৎফুন নেসা (৫৮), পিতা মোশাররফ হোসেন খলিফা (৬৫), এস.এস.সি পরিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানাসহ ৭জনকে পিটিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাইফুল ইসলাম বনি বলেন, ঘের সংক্রান্ত বিরোধের কারনে রিপন খলিফার সাথে বাকবিতন্ডা হয়েছে। মারপিট বা বসতঘরে হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি।
ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কেএম মহিউদ্দিন খান রিপন বলেন, তার কর্মী জিএস রিপনসহ কয়েকজনের ওপর প্রতিপক্ষের কর্মীরা হামলা করেছে। বসতঘরও ভাংচুর করেছে।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজীব আল রশিদ বলেন, জিউধরায় ঘের বিরোধ ও পারিবারিক দ্বন্ধে একটি দোকান ভাংচুরের ঘটনা শুনেছি। তবে বসতবাড়ী ভাংচুরের বিষয়ে জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।