
ভান্ডারিয়ায় ১৬৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৭ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংকটে
01/01/1970 12:00:00ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার ১৫৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৭টি বিদ্যালয়ে চরম শিক্ষার্থী সংকট দেখা দিয়েছে। কম শিক্ষার্থী নিয়ে পরিচালিত পাশাপাশি থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো একীভূত করার পরিকল্পনা সরকারের থাকলেও এখনও তা বাস্তবায়ন হয়নি। । ফলে কম শিক্ষার্থী নিয়ে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোতে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানাগেছে,সারা দেশে এ ধরনের ৩০০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছে। তালিকায় পিরোজপুর জেলার ৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ভাণ্ডারিয়ায় ২৭ বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয় একীভূত করার জন্য এরই মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২৭টি বিদ্যালয়ের জন্য প্রধান শিক্ষক ও সহকারীসহ মোট ৮৭জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছে। প্রতি মাসে তাদের পিছনে ২ কোটি ৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা সরকারের খরচ হচ্ছে। তালিকাভূক্ত বিদ্যালয় গুলো হচ্ছে ২ নম্বর উত্তর ভিটাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২১ নম্বর হেতালিয়া, ২৪ নম্বর দারুলহুদা নেছারিয়া, ৩৬ দক্ষিণ ইকড়ি, ৪৯ নম্বর দক্ষিণ পশ্চিম রাজাপাশা, ৫০ নম্বর দক্ষিণ রাজপাশা-১, ৫২ নম্বর রাজপাশা আদর্শ , ৫৬ নম্বর পশারিবুনিয়া, ৮১ নম্বর পশ্চিম গৌরীপুর, ১০৩ নম্বর দক্ষিণ সিংখালী, ১০৭ নম্বর পূর্ব গাজীপুর, ১১১ নম্বর উত্তর পূর্ব পশারিবুনিয়া, ১১২ নম্বর মধ্য পশারিবুনিয়া, ১১৩ নম্বর পূর্ব পশারিবুনিয়া, ১১৬ নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিম নদমুলা, ১১৯ নম্বর পশারিবুনিয়া আদর্শ, ১২২নম্বর পশ্চিম নদমুলা আদর্শ, ১২৪ নম্বর উত্তর-পশ্চিম রাজপাশা, ১৩৪ ননম্বর পশারিবুনিয়া নাথপাড়া, ১৪০ নম্বর ইকড়ি আদর্শ, ১৪২ নম্বর মধ্য পশ্চিম পশারিবুনিয়া, ১৪৩ নম্বর পূর্ব বোথলা, ১৪৮ নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিম গাজীপুর, ১৫০ নম্বর পূর্ব রাজপাশা, ১৫১ নম্বর আতরখালী আদর্শ, ১৫৮ নম্বর পশারিবুনিয়া ও ১৫৯ নম্বর মধ্য গোলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, পিরোজপুর জেলায় ৯৯২ টি বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫৮টি বিদ্যালয়ে ৫০-এর কম শিক্ষার্থী আছে। পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ২৭টি বিদ্যালয়কে একীভূত করার সুপারিশ করা হয়েছে।’ তবে একীভূত করার পর কোনো বিদ্যালয় বন্ধ হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি থাকা দুটি বিদ্যালয়ে ভাগাভাগি করে পাঠদান করানো হবে। একটিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পাঠদান করা হবে। একই ভাবে অন্যটিতে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর পাঠদান করা হবে।’
এভাবে শ্রেণি ভিত্তিক পাঠদান ভাগাভাগি হলে আর শিক্ষার্থী সংকট হবে না। অর্থাৎ একটিতে কম শিক্ষার্থী বা অন্যটিতে বেশি শিক্ষার্থী এমন সমস্যা হবে না। একীভূত হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও বাড়বে। ফলে শিক্ষার মান আরো ভালো হবে।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক মিজ নিলুফার ইয়াসমিন বলেন, ‘স্থানীয় বাস্তবতা ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যালয়গুলো একীভূত করা হচ্ছে। অল্প শিক্ষার্থী রয়েছে, তবে পাশাপাশি কোনো বিদ্যালয় নেই এমন বিদ্যালয়গুলোও যথারীতি চালু থাকবে। সারা দেশে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছে। এটা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে নির্দেশনা এলে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।