
কঠোর আন্দোলনের মুখে মোংলার সেই সমালোচিত ইউএনও প্রত্যাহার
01/01/1970 12:00:00মোংলা প্রতিনিধি
কঠোর আন্দোলনের মুখে বহুল সমালোচিত মোংলা উপজেলার সেই নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া শারমিনকে বদলি করা হয়েছে। নানাবিধ অভিযোগ উত্থাপন করে গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি ও বিএনপি সহ বিভিন্ন মহলের দাবি ও বিক্ষোভের মুখে তাকে বদলি করা হয়। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক দাপ্তরিক আদেশে তাকে মোংলা থেকে প্রত্যাহার করে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরিফুল ইসলাম সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এছাড়া ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিসেবে চাকরীরত শারমিন আক্তার সুমিকে মোংলা উপজেলায় নতুন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বহুল বিতর্কিত ও সমালোচিত ইউএনও আফিয়া শারমিনকে মোংলা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ায় স্থানীয় সাধারণ জনগন ও বিভিন্ন মহলে স্বস্তির নিশ্বাস ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোংলার এই ইউএনও আফিয়া শারমিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, সেবা গ্রহনকারীদের সাথে দূর্ব্যবহার, প্রশাসনিক অদক্ষতা, অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বোচ্ছাচারিতার বহু অভিযোগ ছিল।
বিসিএস ৩৫ ব্যাচের এ কর্মকর্তা গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার তালা উপজেলা থেকে মোংলায় ইউএনও হিসেবে যোগদান করেই নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এর জেরে সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি ও নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন মহল তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিলো। সর্বশেষ, গত বুধবার সকাল থেকে এসকল সংগঠন ইউএনওর প্রত্যাহারের দাবীতে মোংলা উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান কর্মসুচি পালন করেন তারা।
পরে ইউএনও আফিয়া শারমিনকে দ্রুত অপসারণ করা হবে বলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের এমন আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় আন্দোলনকারীরা। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জেলা প্রশাসক আজ সোমবার তাকে মোংলান থেকে প্রত্যাহার করে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সংযুক্ত করা হয়।
তবে এ ব্যাপারে ইউএনও আফিয়া শারমিনের মুঠো ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নী।