
‘দেশ চলবে আল্লাহ প্রদত্ত আইন ও সৎ লোকের শাসনে’ - অধ্যক্ষ মশিউর রহমান খান
01/01/1970 12:00:00চিতলমারী প্রতিনিধি
‘দেশ চলবে আল্লাহ প্রদত্ত আইন ও সৎ লোকের শাসনে। দেশের মানুষের উপর বহু অবিচার, জুলুম ও নির্যাতন হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরচার আওয়ামী সরকারের জগদ্দল (ভারী) পাথর জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছিল। জাতি আজ সে পাথর থেকে মুক্ত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিছক কোন রাজনৈতিক দলের নাম নয়। এটা মানবতার সংগঠন। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণ সাধন করাই এ সংগঠনের লক্ষ্য ও মূল উদ্দেশ্য। আমি যেহেতু বাগেরহাট-১ আসনের চিতলমারী উপজেলার সন্তান। সেই হিসেবে সাংগঠনিক সিস্টেম অনুসরণ পূর্বক তৃণমূল পর্যায়ের মতামতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সংগঠন বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-ফকিরহাট ও মোল্লাহাট) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনিত করেছেন। মানবতার সংগঠন ও আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমাকে এ তিন উপজেলার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমি আমার সীমিত সামর্থ্যরে মধ্যে সকল জনগণের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’-কথা গুলো বলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও বাগেরহাট জেলা শাখার সাবেক আমীর এবং বতর্মান জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেয়ারটেকার অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান খান। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৫ টায় চিতলমারী আলিয়া মাদ্রাসার সামনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ কামরুল ইসলামের বাসভবনে বসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এদেশের মানুষ জুলুমের জাঁতাকল থেকে মুক্তি পেয়েছে। আমি জুলুম সরকারের হাতে নিহত সকল শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই। মহান বাবুদ যেন তাঁদের শাহাদাতের উচ্চমর্যাদা দান করেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যদি আমাদেরকে এ জাতির খেদমত করার সুযোগ দেন। আমানতদারী ও দায়িত্বশীলতার স্থান থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাব। আমরা নির্বাচিত হলে এ দেশে সংখ্যাগুরু আর সংখ্যালঘু কোন বিভেদ থাকবে না। সকলের একটাই পরিচয় হবে আমরা বাংলাদেশী।’
মতবিনিময় সভায় এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চিতলমারী উপজেলা শাখার আমির মাওলানা গাজী মুনিরুজ্জামান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ কামরুল ইসলাম, এলাকার গর্ণমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান খান ১৯৬৮ সালে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার আড়ুয়াবর্নী চরপাড়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম সুলতান আহমদ খান। মাতা আছিয়া বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোন। ভাইদের মধ্যে তিনি চতুর্থ। দাম্পত্য জীবনে তাঁর দুই মেয়ে ও দুই ছেলে।
আড়ুয়াবর্নী ডরপাড়ার একটি মক্তবে তিনি শিক্ষা জীবন শুরু করেন। পরে আড়ুয়াবর্নী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। ১৯৭৫ সালে হিজলা আলিম মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৮০ সালে দাখিল পাশ করেন। ১৯৮২ সালে ওই মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ করেন। ১৯৮৪ সালে রহমতপুর ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ডিগ্রী পাশ করেন। ১৯৮৬ সালে পিরোজপুরের ছারছিনা দারুস সুন্নাহ আলিয়া মাদ্রাসা থেকে হাদিস বিভাগে কামিল পাশ করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮২ সালে ছাত্র শিবিরের সমর্থক হিসেবে যোগদেন। ১৯৮৩ সালে ছাত্র শিবিরের কর্মী হন। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। ১৯৯২ সালে সদস্য পদ লাভ করেন। তৎকালীন কর্মস্থল মাগুরা পৌর সভার আমির হিসেবে ৭ বছর দায়িত্ব পালন করেন (১৯৯৩-১৯৯৯)। ১৯৯৯ সালে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ওই বছর বাগেরহাট জেলা জামায়াতের সদস্য পদ লাভ করেন। ২০০৪ সালে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে বাগেহাট জেলা আমির নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য, খুলনা অঞ্চল টিমের সদস্য ও বাগেরহাট জেলার কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করছেন।