
সেবার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গেলে পুতুলের মতো নাচানো হয়!
01/01/1970 12:00:00মশিউর রহমান মাসুম
মোরেলগঞ্জে জন্ম নিবন্ধন করাতে সরকার নির্ধারিত ফি’র চারগুন টাকা দিয়েও খুব সহজে নির্ভুল জন্ম নিবন্ধন সনদ পাচ্ছেন না সেবা প্রার্থীরা। কয়েকগুন বাড়তি টাকা দেওয়ার পাশাপাশি দিনের পর দিন কাজ ফেলে ঘুরতে হচ্ছে এর পিছনে। সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ, ‘পরিষদে গেলেই পুতুলে মতো নাচানো হয়। টাকা যায়, শ্রম যায়, দিনও যায়।
কালক্ষেপন ও হয়রানিমুক্ত কোন সেবা পাওয়া যায়না পরিষদে’। এমন অভিযোগ ১৪ নং বারইখালী ইউনিয়নের বাসিন্দাদেরই শুধু নয়, গোটা মোরেলগঞ্জ উপজেলাবাসির।
সরকারিভাবে জন্ম নিবন্ধনের জন্য ০ থেকে ৪৫ দিন বয়সী শিশুর জন্য ফ্রি, ৫ বছরের মধ্যের শিশুদের জন্য ২৫ টাকা ও এর অধীক বয়সীদের জন্য সরকারিভাবে ৫০ টাকা ফি নির্ধারিত থাকলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় তা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা এখানে। শুণ্য থেকে ৪৫দিন বয়সী শিশুদের কোন টাকা ছাড়াই নিবন্ধন করারর নির্দেশনা থাকলেও তাদের জন্য নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা করে। ৪৫দিনের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ৫০ টাকার স্থলে নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা করে। রবিবার ( ২ জানুয়ারি) বারইখালী ইউনিয়নের উত্তর সুতালড়ী গ্রামের নিবন্ধন প্রার্থী মো. সাগর জোমাদ্দার পরিষদের সচিব সুভাশিষ মল্লিকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করলে সরেজমিনেও মিলেছে তার প্রমান।
প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে পরিষদের চেয়ারম্যান আউয়াল খান মহারাজ জন্ম নিবন্ধনে ২০০ টাকা করে নেওয়ার কথা স্বিকার করলেও সরকারি ফি’র বাইরে আদায় করা বাকি ১৫০ টাকা কোন খাতে জমা করা হচ্ছে বা কাদের পকেটে যাচ্ছে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে পরিষদের সচিব বলেন, শুধু এখানে নয়। মোরেলগঞ্জের সকল ইউনিয়ন পরিষদেই ৪৫দিন বয়সীদের জন্য ১০০ ও অন্যদের জন্য ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। সরকারি ফি ব্যাতিত বাড়তি টাকা আদায়ের বিষয়ে চেয়ারম্যানের উপস্থিতি তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তার খরচ মেটানোর জন্য বাড়তি টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে। তবে এ সিদ্ধান্ত কার বা কোন দপ্তরের তা তিনি বলতে পারেননি। এমন চিত্র শুধু মোরেলগঞ্জে নয়, গোটা বাংলাদেশের বলে উল্লেখ করেন সচিব সুভাশিষ মল্লিক।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে কেউ ইতোপূর্বে অভিযোগ করেনি। এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।