শিক্ষার্থীদের জন্য সাইবার সচেতনতা কর্মশালা

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৬:২৬ পিএম, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১ | ৯৭৬

শিক্ষার্থীদের জন্য সাইবার সচেতনতা কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাইবার অপরাধ খুব দ্রুত গতিতে বাড়ছে। শিশুরা বা কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও এর শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার প্রভাব পড়ছে শিক্ষায় এবং শিক্ষার্থীদের মনোজগতে। ‘আর কোন শিশু যেন সাইবার অপরাধের শিকার না হয়। আর কোন শিশু যেন সাইবার অপরাধী না হয়’- এই মূলমন্ত্র নিয়ে ন্যাশনাল চিল্ড্রেনস টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) বাগেরহাট জেলা ও সাইবার অপরাধ বিষয়ক জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান ‘সাইবার লাইফ’ যৌথভাবে আয়োজন করে ‘শিক্ষায় সাইবার সচেতনতা’ শীর্ষক এই কর্মশালা। অনলাইনে আয়োজিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান মনিরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ.ন.ম. ফয়জুল হক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাগেরহাট সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, সেভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি ম্যানেজার, সিআরজি-সিপি, আবু জাফর মোহাম্মদ হোসেন, বিশেষ বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী সাদাত রহমান। মুখ্য আলোচক ছিলেন সাইবার লাইফ এর প্রতিষ্ঠাতা মুনজুরুল করিম।

শুক্রবার সকালে এ কর্মশালা সঞ্চালনা করেন এনসিটিএফ বাগেরহাটের প্রেসিডেন্ট এস.এম. মানজুরুল ইসলাম সাজিদ। কর্মশালায় সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল বিভাগে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি নাজমুল ইসলাম। সাইবার অপরাধের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট তামজিদ রহমান লিও। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি মনিরুল ইসলাম বলেন, “সাইবার অপরাধ খুবই দ্রুততার সাথে বাড়ছে এবং প্রত্যেকের জীবনেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সাইবার অপরাধ থেকে বাঁচতে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই”।

পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন- ‘সাইবার স্পেসে আমাদের আচরণ কি হবে সে ব্যাপারে সাইবার নৈতিকতা সংক্রান্ত দুটি অধ্যায় ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকেই পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত,সবাই সবার জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে’ কর্মশালাটিতে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হক তার সভাপতির বক্তব্যে বলেন- ‘এই সাইবার সচেতনা আন্দোলন বাগেরহাট থেকেই শুরু হলো। আমরা এটাকে পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেবো এবং বাগেরহাট জেলা প্রশাসন সব সময় পাশে আছে,থাকবে ’ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।

আয়োজকরা মনে করেন, এসব কর্মকান্ডের মাধ্যমে একজন থেকে বহুজনের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে এবং সাইবার অপরাধ থেকে মানুষ নিজেকে রক্ষা করতে পারবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত