মোরেলগঞ্জে সূর্যমুখী ও ভূট্রা চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের

মেহেদী হাসান লিপন, মোরেলগঞ্জ

আপডেট : ০৫:৪৮ পিএম, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১ | ৬২৫

মোরেলগঞ্জে সূর্যমুখী ও ভূট্রা চাষে চাষীদের আগ্রহ বাড়ছে। চলতি বছরে আমন আবাদের বাম্পার ফলনের পর পতিত জমিতে সূর্যমুখী ও ভূট্রা চাষে বাম্পার ফলনে আশাবাদি চাষীরা।


সরেজমিনে জানা গেছে, রবি ২০২০-২১ মৌসুমে সদর ইউনিয়নে ভাইজোড়া গ্রামের বাসিন্দা সালেহ শাহ্ সুপার সাইন ২৭৬০ হাইব্রিড জাতের ভূট্রা চাষ করেন। এ বছরের জানুয়ারী মাসে তিনি ৬৬ শতক জমিতে ভূট্রার চাষ করেন। গোপালগঞ্জ,খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মোরেলগঞ্জের সহায়তা নিয়ে এ জমিতে তিনি এ হাইব্রিড জাতের ভূট্রা চাষ করেন । পাশাপাশি তিনি এ জমির পাশেই আরো ৩৩ শতক জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেন। কৃষক সালেহ শাহ্ বলেন, আর ১ মাসের মধ্যেই চাষাবাদকৃত ভূট্রা ও সূর্যমুখীর ফলন পাওয়া যাবে। এ বছরে আবাদকৃত ফসলের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদি।


একই ব্লকে অপর চাষী হাবিবুর রহমান চলতি বছরে ৩৩ শতক জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেন। তার জমিতে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হবে। আমন ফসলের বাম্পার ফলনের পর সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে খুশি চাষী হাবিবুর। তার এ ৩৩ শতক জমিতে কমপক্ষে ২০০ কেজি তেল বীজ উৎপাদিত হবে বলে তিনি আশাবাদি। এতে তিনি ৬০ কেজি খাঁিট সূর্যমুখীর তেল পাবেন। এতে করে তিনি পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন । তাছাড়া এর বীজ ১৯ শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।


এ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ‘এক ইঞ্চি জমিও পতিত থাকবে না’ । এ নির্দেশনা অনুযায়ী চাষীরা পতিত জমিতে ভূট্রা ও সূর্যমুখীর চাষ করেছে। বাম্পার ফলন হবে। কৃষি অফিস এসব চাষীদের সার ও বীজ সহায়তা প্রদান করেছে।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সিফাত আল মারুফ জানান, চলতি বছরে উপজেলায় ৪৮৫ বিঘা জমিতে ভূট্রা ও ২৬১ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। এর ফলনে চাষীরা বেজায় খুশি । সূর্যমুখী ও ভূট্রা চাষে এলাকার চাষীদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত