চিতলমারীতে শসার দরপতনে চাষিরা উদ্বিগ্ন

এস এস সাগর, চিতলমারী

আপডেট : ০৫:১২ পিএম, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০ | ১০৮২

শসার দরপতনে চাষিরা উদ্বিগ্ন

করোনার ক্রান্তিকালকে উপেক্ষা করেও বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চাষিরা ব্যাপক সবজির চাষ করেছেন। বহু কষ্টে উৎপাদিত শসাসহ বিভিন্ন সবজি মোকামে (আড়তে) আসতে শুরু করেছে। কিন্তু একদিনের ব্যবধানে এখানে শসার দাম কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। তাই ব্যাংক, এনজিও ও সুদে কারবারিদের দেনায় জর্জরিত সবজি চাষিরা ফসলের হঠাৎ এ দরপতনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা এ দাম কমাটা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কি-না তা তদারকি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

চিতলমারী কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় কমপক্ষে ১৬ হাজার সবজি চাষি পরিবার রয়েছেন। এ বছর চাষিরা এক হাজার ৫৭৬ একর জমিতে শসা, ৪৬৫ একর জমিতে করল্লা, ১৩১ একর জমিতে মিষ্টি কুমড়া, ১০৪ একর জমিতে চাল কুমড়া ও ৫৯৫ একর জমিতে অন্যান্য সবজিসহ মোট ২ হাজার ৮৭১ একর জমিতে সবজি চাষ করেছেন। বর্তমানে বাজারে শসা উঠতে শুরু করেছে। সামনে ব্যাপক হারে শসা আড়তে ভরে যাবে।

সোমবার দুপুরে উপজেলার খড়মখালী গ্রামের বিকাশ হীরা, কংকন মজুমদার ও অনন্ত মন্ডলসহ সবজি চাষিরা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, আজ (২০ জুলাই) এখানে প্রতিমন শসা ৫০০-৬০০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। যা রবিবার (১৯ জুলাই) প্রতিমন এক হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তারা নিরুপায় হয়ে কম দামে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করছেন।

তারা আরও জানান, এ অঞ্চলের অধিকাংশ চাষি বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও ও সুদে কারবারিদের দেনায় জর্জরিত। তাই সবজি চাষিরা ফসলের হঠাৎ এ দরপতনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা এ দাম কমাটা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কি-না তা তদারকি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সবজি ব্যবসায়ী ইমরান মিয়া, উত্তম বাড়ৈ ও সুমন্ত বিশ্বাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ঢাকার বাজার ভালোনা। হঠাৎ করে দাম কমে গেছে। আবার মাওয়া ঘাটে সময় মতো ফেরি পাওয়া যায় না। তাই শসার দাম অর্ধেকে নেমে আসছে।

তবে চিতলমারী উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, বাজারে অল্প অল্প করে শসা আসতে শুরু করেছে। তবে দামের বেলায় সবাইকে একটু সচেতন হতে হবে। যতোটা শুনেছি ফেরি পারাপারের কারণে ব্যপারিদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তাই হয়ত হঠাৎ শসার দাম কমছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত