মিথ্যা মামলা ও হুমকির হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের সহযোগিতা চায় অসহায় পরিবারটি

৭শতক জমির জন্য প্রভাশালীর পাঁচ মামলা!

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৪:০৩ পিএম, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৭৩১

মাত্র সাত শতক জমি কবজায় নিতে কাঠ মিস্ত্রি মিজান মল্লিক ও তার পরিবারের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। বাগেরহাটের শরণখোলার রাজৈর গ্রামের প্রভাবশালী আহসান ওরফে জাহাঙ্গীর হাওলাদার ওই পরিবারের নামে এপর্যন্ত ঢাকায় চারটি এবং বগুড়ায় একটি মামলা দিয়েছেন। এর মধ্যে তিনটি মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।

জমি লিখে না দিলে আরো মামলাসহ র‌্যাব দিয়ে তুলে নেওয়া হবে বলে মোবাইলে হুমকি দিচ্ছেন ওই প্রভাবশালী। এ অবস্থায় নিরিহ পরিবারটি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় শরণখোলা প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা মামলা ও হুমকির হাত থেকে বাঁচার আকুতি জানায় ওই পরিবারটি।

লিখিত বক্তব্যে মিজান মল্লিক জানান, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে রাজৈর গ্রামের সেকান্দার মোল্লার চার ছেলে ও এক মেয়ের কাছ থেকে সাত শতাংশ জমি কিনে ঘরবাড়ি নির্মান করে সেখানে বসবাস করছেন তারা। কিন্তু প্রতিবেশি ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে আহসান ওরফে জাহাঙ্গীর ওই জমি তাকে লিখে দিতে বলেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নানারকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকেন। জমি না পেয়ে অবশেষে বিভিন্ন এলাকায় তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিতে শুরু করেন।
মিজান জানান, আহসান ওরফে জাহাঙ্গীর একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করার কারনে ঢাকা-বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তার যোগাযোগ রয়েছে। সেসব এলাকার পুলিশের সাথে যোগসাজশে মিথ্যা মামলাগুলো দিয়ে যাচ্ছেন। এপর্যন্ত তার নামে ঢাকায় চুরিসহ চারটি এবং বগুড়ায় একটি মামলা দিয়েছেন। চুরির মামলায় তিনি এবং তার স্ত্রী লাকী আক্তার, বাবা জালাল মল্লিক, ভাই জাকির মল্লিক, বোন জাহানারা বেগম ও তামান্নাসহ ছয় জনকে আসামী করা হয়েছে। তারা এসব মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারও হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার দুটি ও বগুড়ার একটি মামলা মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় আদালত খারিজ করে দিয়েছেন।


তিনি আরও জানান, জমি লিখে দেওয়ার জন্য জাহাঙ্গীর এখনো চাপ সৃষ্টি করছেন। সম্প্রতি তাকে ও তার বাবার মোবাইলে ফোনে কল করে আরো মামলা এবং র‌্যাব দিয়ে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। এসব উল্লেখ করে তিনি শরণখোলা থানায় জিডি করেছেন। মিথ্যা মামলা ও প্রভাবশালীর রোষানল থেকে বাচঁতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছে ওই অসহায় পরিবারটি।


এব্যপারে জানার জন্য আহসান ওরফে জাহাঙ্গীর হাওলাদারের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত