হাসিবুলের অভিযোগ 

মামা-ভাগ্নের অত্যাচারে দিশেহারা পরিবার

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ০৪:০৮ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩ | ৫৭৬

বাপ-দাদার জমি। এসএ সিএস খাজনার সব কাগজপত্র আছে। পনের বছর ধরে স্ত্রী জেসমিন বেগম ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছি। এখন সেই জায়গা থেকে উচ্ছেদের জন্য মোঃ শফিকুল ইসলাম ও তাঁর মামা কবুর বিশ্বাস অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে। মামা-ভাগিনা ও তাঁদের লোকজনের অত্যাচারে বর্তমানে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। হামলা ও মামলায় জর্জরিত আমার গোটা পরিবার। সামান্য দিনমজুরের কাজ করি। বড় ছেলে আশরাফুল বিশ্বাস কলেজে ও ছোট ছেলে জাবের বিশ্বাস স্কুলে পড়ে। মামলা ও হামলায় এখন ওদের লেখপাড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের এমনটাই বললেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার পাটরপাড়া গ্রামের হাসিবুল হক বিশ্বাস (৪৮)।

হাসিবুল হক বিশ্বাস আরও জানান, তাঁর পিতামহ বজলার রহমান বিশ্বাসের নামে পাটরপাড়া মৌজায় সিএস ৭০ নং খতিয়ানে ৭২৭ দাগে ১০ শতক জমি রেকর্ড ছিল। পরবর্তীতে হাসিবুলের বাবা মনি মিয়া বিশ্বাসের নামে এসএ ৩৯ খতিয়ানে ছয় শতক জমি রেকর্ড হয়। তিনি জমির নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে ওই জায়গায় ১৫ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি ওই জায়গা প্রতিবেশী মোঃ শফিকুল ইসলাম দাবী করে উচ্ছেদের জন্য কয়েক দফা হামলা চালায়। কয়েকটা মামলা ও থানায় মিথ্যা অভিযোগও দায়ের করেছে। আর এ হামলা ও মামলার মদদদাতা শফিকুলের দূরসম্পর্কীয় মামা মোঃ কবুর বিশ্বাস। তাঁদের হামলা, মামলা ও মিথ্যা অভিযোগে হাসিবুলের গোটা পরিবার এখন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে পাটরপাড়া গ্রামের মোঃ আসলাম বিশ্বাস ও মোঃ মাসুদ মোল্লা জানান, মামা-ভাগ্নের অত্যাচারে শুধু হাসিবুলই নয়, তাঁরাও দিশেহারা। আর এই মামা-ভাগিনার পিছনে আরও বড় রাখব বোয়াল রয়েছে।

এ ব্যাপারে মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই জায়গার কাগজপত্র আমার। মামলা, মোকদ্দমা ও বিচার-সালিসি করেও জায়গা বুঝে পাচ্ছিনা।’


শফিকুল ইসলামের দূরসম্পর্কীয় মামা মোঃ কবুর বিশ্বাস বলেন, ‘শফিকুলরা গ্রামের মধ্যে সব চাইতে নিরীহ। আমি ট্যাকেল না দিলে বিশ্বাসরা ওদের রাখত না। আপনি বিশ্বাসের কাছে শুনে দেখতে পারেন।’


তবে চিতলমারী থানার এএসআই মোঃ ইমামুল মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, হাসিবুলের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছিল। জায়গা জমি সংক্রান্ত হওয়ায় তাঁদেরকে আদালতের স্মরণাপন্ন হতে বলা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত